
আলোকিত সকাল ডেস্ক
তাড়াশে ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যান ও রিকশা চালাচ্ছে শিশু-কিশোররা। দিন দিন বেড়েই চলেছে এসব অনভিজ্ঞ চালকের সংখ্যা। গ্রামীণ সড়কের পাশাপাশি আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে ঐসব চালকদের সঙ্গে যাত্রীরাও রয়েছেন চরম ঝুঁকিতে।
সরেজমিনে সড়কগুলোতে অনবরত শিশু-কিশোর চালকদের দেখা যায় যাত্রী সাধারণ ও মালামাল নিয়ে আশঙ্কাজনক গতিতে ভ্যান-রিকশা চালাতে। পৌর শহরের জনবহুল ও যানবাহনে ভরপুর ব্যস্ততম রাস্তায়ও দেখা মেলে অপরিপক্ক এসব চালকের।
রাব্বী (১২) নামে একজন অটো ভ্যান চালক জানায়, সে কহিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ও পৌর এলাকার কহিত গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে। বাবা, মা ও দুই বোনকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার তাদের। ভাই-বোনের মধ্যে সে বড়ো। মূলত তার বাবা ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে তার বাবা যখন দিনমজুরের কাজ করেন তখন সে তার বাব-মার নির্দেশেই সাংসারিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য ভ্যান চালায়। এতে তার সারাদিন আড়াই থেকে তিনশ টাকা রোজগায় হয়।
উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ভাদাস গ্রামের শরিফুলের ছেলে অটোরিকশা চালক মমিন হোসেন (১৪) জানায়, পরিবারে তিন ভাই-বোনের মধ্যে সে ছোটো। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর সে আর বিদ্যালয়ে যায় না। অভাব অনটনের সংসারে হাল ধরতে এখন রিকশা চালাচ্ছে।
এদিকে সচেতন মহল মনে করছেন, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন আর প্রয়োজনীয় বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ না থাকায় পরিবারই তাদের শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শিশুশ্রম রোধে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, আট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে শিশু-কিশোর শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।
আলোকিত সকাল/এসআইসু