
আলোকিত সকাল ডেস্ক
‘আমার পুত্রবধূ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির কারণে আজ কতগুলো পরিবার জ্বলছে। দুই মায়ের বুক খালি হয়েছে। কতদিন বলেছি তোরা বন্ধুত্ব আবার জোড়া লাগিয়ে বিবেধ ভুলে জীবনযাপন শুরু কর। কিন্তু আজ বিপরীত হয়ে দুই মায়ের কোল খালি করে কবরবাসী হইলি তোরা।’ আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলেছিলেন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত নয়ন বন্ডের মা সাহিদা বেগম।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নিজের বাড়িতে বসে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত নয়ন বন্ডের মা সাহিদা বেগম গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন।
জানা যায়, রিফাত শরীফ এবং নয়ন বন্ড দু’জন খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। তারা একই গ্রুপ ‘০০৭ বন্ড’-এর সদস্য ছিলো। তাদের দুজনের প্রথম ঝামেলা শুরু হয় ‘০০৭ বন্ড’ গ্রুপের প্রধান থাকবে কে তা নিয়ে। এরপর ওই গ্রুপে নয়নের সদস্য বেশি হওয়ায় রিফাত নয়নের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিন্ন করে নতুন এক বাহিনীতে যোগ দেয়। পরে রিফাত আরেকটি ছিনতাই গ্রুপ তৈরি করে। যেটার নিয়ন্ত্রণ করতেন রিফাত। আর এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলার সৃষ্টি হয়ে মারামারি পর্যন্ত যেতো।
রিফাত হত্যা মামলার বাদী ও তার বাবা দুলাল শরীফ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে রিফাত মারা যাওয়ার পর শুনেছি নয়ন আর রিফাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। এরআগে, কখনো বুঝিনি ওরা দুজন দুজনার শত্রু। তাছাড়া তারা একসময় ভালো বন্ধু ছিল।
বরগুনা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকলেও পুলিশের তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদকের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
আস/এসআইসু