
আলোকিত সকাল ডেস্ক
তিন ক্লাস মিলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ জন। এর মধ্যে নিয়মিত উপস্থিত ১২ থেকে ১৫ জন। অথচ ঐ স্কুলে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন আটজন। এ প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের মাসিক ব্যয় প্রায় এক লাখ টাকা। খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুল পরিদর্শন করে এ তথ্য জানান। তারপরেও চলছে স্কুলটি !
সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে বাঘা উপজেলার আমোদপুর গ্রামে ছয়জন শিক্ষক, ১ জন পিয়ন ও ১ জন নৈশপ্রহরী নিয়ে চালু করা হয় “আমোদপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়”। সে সময় ঐ বিদ্যালয়ে তিন ক্লাস মিলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪০ জন। যা বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে। এর মধ্যে নিয়মিত উপস্থিত সর্বোচ্চ ১২ থেকে ১৫ জন। অথচ ঐ স্কুলের পেছনে সরকারের মাসিক ব্যয় লক্ষাধিক টাকা।
ঐ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ৯৫ সালে ঐ স্কুলটি স্থাপন করার পর শিক্ষার্থীরা ভালোই ছিল। পরবর্তী সময়ে পাশের গ্রাম তেপুখুরিয়ায় স্কুল চালু হওয়ায় আমি আমার পদ থেকে সরে যাই। তারপর থেকে এই স্কুলের শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটি দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থী ধরে রাখতে পারেনি। তার মতে, স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা সঠিক সময় মেনে স্কুলে আসেন না। এ কারণে স্কুলটির লেখাপড়া বর্তমানে মুখথুবড়ে পড়েছে। অনুরূপ কথা বলেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা জানান, তিনি গত চার মাসে ঐ স্কুলটি দুইবার পরিদর্শন করেন। সেখানে তিন ক্লাস মিলে শিক্ষার্থী পেয়েছেন সর্বোচ্চ ১৪ জন। এর মধ্যে শেষবার গত মাসে ঐ স্কুলে গিয়ে দুজন শিক্ষককে অনুপস্থিত পান। ফলে ঐ স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, ঐ প্রতিষ্ঠানের সার্বিক চিত্র তিনি উপর মহলকে জানিয়েছেন। সেখান থেকে অদ্যাবধি কোনো নির্দেশনা আসেনি। এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এর আগে তিনি ঐ স্কুলের পড়ালেখা এবং কমসংখ্যক শিক্ষার্থীর বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতিকে অবগত করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
তবে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থী কম থাকার সত্যতা স্বীকার করলেও দেরিতে স্কুলে আসার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন।
আস/এসআইসু