
আলোকিত সকাল ডেস্ক
বান্দরবানে টানা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানান, মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে বান্দরবান কেরানীহাট সড়কের বড়দোয়ারা এলাকায় সড়কটি পানিতে তলিয়ে গেলে বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর ফলে সড়কের উভয় দিকে যানবাহন আটকা পড়ে শত শত যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
এ দিকে, গত সোমবার থানচি-বান্দরবান সড়কের চিম্বুক নয় মাইল নামক এলাকায় পাহাড় ধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও সড়কের মাটি সরিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
অন্যদিকে, গত শুক্রবার ঢাকা থেকে ২০ জন পর্যটক রেমাক্রি ও তিন্দুতে বেড়াতে যায়। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার পর সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৪ জন পর্যটক সোমবার বিকালে ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় থানচি সদরে পৌঁছালেও বাকি ১৬ জন পর্যটক রেমাক্রি ও তিন্দুতে আটকা পড়ে রয়েছেন।
বান্দরবান বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝুন্টু দাশ দৈনিক অধিকারকে বলেন, বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া বড় দুয়ারা এলাকায় সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। পানি কমলে শীঘ্রই বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
উল্লেখ্য, পাঁচ দিনের টানা ভারী বর্ষণে বান্দরবানের সাতটি উপজেলায় সড়কের পাশে ছোট বড় বিভিন্ন পাহাড় ধসের কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বান্দরবানের বেশকিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় ১২৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া জনসাধারণের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মনিটরিং সেল।
আস/এসআইসু