
মোহনপুর প্রতিনিধি
রাজশাহী মোহনপুরে ৩০ জুন রবিবার রাতে সমবায় কর্মকর্তার অপর হামলা চালাই তার সাবেক জামাই জাহিদ আক্তার , হত্যা চেষ্টায় সফল হতে না পেরে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
সমবায় কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন একা থাকার তথ্য পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ছোট মেয়ের স্বামী জাহিদ আক্তার (৩১) সই পাড়া গ্রামের এমাজ উদ্দীন এর ছেলে মোরশেদ আলী (৩৫)
মোহনপুর গ্রামের হৃদয় হোসেন (২০) মিলে সমবায় কর্মকর্তার ওপর হামলা চালাই এবং কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় । পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাহিদ আক্তার এর সাথে আলতাফ হোসেন এর মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের মন মালিন্য হওয়ার কারনে তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। এবং জাহিদ তার স্ত্রীকে তালাক দেই, তার পর থেকে আলতাফ হোসেন এর উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে হত্যা করার জন্য গত ৩০ জুন রবিবার রাতে হামলা চালাই ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
পুলিশের কাছে আসামিরা স্বীকার করে, প্রথমে তারা সমবায় কর্মকর্তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা চালাই। সফল হতে না পেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে আঘাত করে পালিয়ে যাই।
৪ জুলাই আসামি জাহিদ কে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এজাহারভুক্ত তিন আসামির মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ । এবং ৫ জুলাই ওই মামলার এজারভুক্ত আসামি মোরশেদ আলী (৩৫) গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে সমবায় কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন নওগাঁ মান্দা উপজেলাই কর্মরত রয়েছেন।
মোহনপুর থানার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ (ওসি) জানান, আসামি দুইজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। দুই আসামিকে রিমান্ডে নিতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য বের হয়ে আসবে।
আস/এসআইসু