
আলোকিত সকাল ডেস্ক
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিক্কা, দোকানগাঁও গ্রামের মানুষের সিন্দুখাঁন বাজার, সাতগাঁও বাজার, সিন্দুরখান ইউনিয়ন পোষ্ট অফিস, হাসপাতালসহ শ্রীমঙ্গল শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। ফলে ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে তিন গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নে সাতগাঁও বাজার সংলগ্ন ছড়ার উপড় দিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে আসছে। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করে। একটি ব্রিজের অভাবে গ্রামবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন।
এলাকার বিশিষ্টজনেরা জানান, এ সাঁকো দিয়ে তিন গ্রামের মানুষ শ্রীমঙ্গল শহর, সিন্দুরখাঁন, সিক্কা বাজার ও সাতগাঁও বাজারে যাতায়াত করে। এছাড়াও গ্রামের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। এছাড়া ব্রিজ না থাকায় ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স এ গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না।
গ্রামবাসী আব্দুল আওয়াল জানান, আমরা এ পার থেকে ওই পারে যেতে হলে আমাদের একমাত্র যোগাযোগের ভরসা হচ্ছে এ সাঁকো। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পাশের গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়ে যেতে হলে এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। এক গ্রামের কৃষক অন্য গ্রামে কৃষি কাজ করে থাকে। কৃষি পন্য আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বড় কষ্ট হয়।
খালেদ হোসেন জানান, প্রতি বছরই সাঁকোটি ভেঙে যায়। ফলে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এ ছড়ার উপর পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল খালেক, রুপজান বিবি, আতিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন জানান, এ উপজেলার সব এলাকায় রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ হলেও এ গ্রামের চিত্র ভিন্ন। রাস্তা পাকাকরণ ও সেতু না থাকার কারণে এ এলাকার লোকজনকে এখনও পায়ে হেঁটে যাতায়াত ও মাথায় করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য হাট-বাজারে আনা নেওয়া করতে হয়। এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিভিন্ন অফিসের লোকজন ও রোগীদের চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সিন্দুরখান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হেলাল জানান, এখানে ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য উপজেলা পিআইও অফিসে আবেদন দেওয়া আছে।
মৌলভীবাজার -৪ আসনের (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) এমপি জানান, শীঘ্রই ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি সরকারি খাতে বরাদ্দ আসলেই এখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
আস/এসআইসু